মালা-বধূর আর্তনাদ
মোঃ নুরুল ইসলাম
[জাব্দিপুর, খুলনা ১৮ই কার্ত্তিক, ১৪২৩ (২রা নভেম্বর, ২০১৬) বুধবার]
বন্ধু, মোরে ছাড়িয়া আঁধারিয়া রাতে
যাইয়ো না মাঝ দরিয়ায় মাছ ধরিতে —(২)
বাত্যার প্রবল বেগ গগনে গর্জে মেঘ সাগর উত্তাল
তরঙ্গোচ্ছ্বাসে বীভৎস উল্লাসে নাচে উথাল-পাথাল,
অবিরাম গোঙ্গানি ফোঁসফোঁস ধ্বনি যথা হানে ভুজঙ্গে
কুন্তল উচলে উড়িয়ে চলে লাস্যময়ী সে নটিনী ঢঙে।
ঘোর অমানিশা বিস্তারিছে আঁধার দ্বীপী দিগন্তে ——
বন্ধু, মোরে ছাড়িয়া আঁধারিয়া রাতে
যাইয়ো না মাঝ দরিয়ায় মাছ ধরিতে —(২)
পাগল মন মানে না বারণ ছুটে মৎস্য আহরণে
অম্বুধিতে হায়, অপয়া পক্ষী ডাকে কি কুক্ষণে !
কাঁপে হিয়া কেবলি ভাবিয়া কোন অজানা শঙ্কায়
এমত নিদানে ঘোর বিজনে প্রাণপতি কি হারায়!
নিদ হারা নয়নে ত্যজি শয়নে সদা প্রাণ আনচান
জীমূত মন্দ্রে হানে অন্ত্রে যথা অনলবর্ষী কামান।
প্রাণসখা কেনে গেলে তুমি বুভুক্ষু দরিয়াতে!
বন্ধু, মোরে ছাড়িয়া আঁধারিয়া রাতে
যাইয়ো না মাঝ দরিয়ায় মাছ ধরিতে —(২)
আছে যত চিন্তন বুঝি রে ভরে আজি মোর অন্তরে
বাত্যার ঝাঁকুনি কাঁপায় অবনি হিয়ার মাঝে বিদরে,
স্নেহপুত্তলি সন্তানেরা ডরে হাহুতাশ করে কান্দে অবিরাম
এ বিরূপ হালে কি আছে কপালে হইলো রে বিধি বাম!
ভাঙ্গে যদি শাঁখা ভবেতে সব ফাঁকা এ নিঠুর আঘাতে
ভেবে পরিণতি না পাই কোন গতি এমন ঝঞ্ঝাবাতে।
বন্ধু, মোরে ছাড়িয়া আঁধারিয়া রাতে
যাইয়ো না মাঝ দরিয়ায় মাছ ধরিতে —(২) ২৬
[সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @মোঃ নুরুল ইসলাম]
No comments